রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ

স্থাপিত: ১৯৫৮ / জাতীয়করণ: ১৯৮২

রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ

স্থাপিত: ১৯৫৮ / জাতীয়করণ: ১৯৮২

রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ

স্থাপিত: ১৯৫৮ / জাতীয়করণ: ১৯৮২

অধ্যক্ষ মহোদয়ের বাণী

বিভাগীয় শহর ও শিক্ষানগরী রাজশাহীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত উত্তরবঙ্গের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ। এ প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মেধা ও সৃজনশীলতা বিকাশের মাধ্যমে বিশ্বমানের জ্ঞানসম্পন্ন, দেশপ্রেমিক ও মনুষ্যত্ববোধে উজ্জীবিত একজন পরিপূর্ণ মানুষ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। গুণগত শিক্ষার মাধ্যমে কেবল মেধার মানবিকরীকরণ সম্ভব এই সত্য রূপায়ণে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

উপাধ্যক্ষ মহোদয়ের বাণী

শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নতির শিখরে আরোহন করতে পারে না । শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের পথ উন্মুক্ত করে দেয়। ঐতিহ্যবাহী রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান। কারণ তাদের বিকশিত প্রতিভা সমৃদ্ধ করার জন্য কলেজে নানামুখী কর্মকান্ড পরিচালিত হয়। উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠগুলোর মধ্যে…..

রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ

তথাকথিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের স্বাধীনতালাভের কাল থেকে এ অঞ্চলের শিক্ষালাভের ক্ষেত্রে পর্বতপ্রমাণ বাধার সম্মুখীন হয়েছে জনসংখ্যা অনুপাতে পর্যাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাবের কারণেই। একটি ব্যাপক সংখ্যক শিক্ষিত হিন্দু ব্যক্তিত্বের তদানীমত্মন পূর্বপাকিস্তান থেকে ভারতে অভিবাসন বিষয়টিকে আরো স্পষ্টতর করে তুলেছিল। ফলশ্রুতিতে তরুণ সম্প্রদায় প্রচন্ড আর্থিক সংকট এবং পঙ্গু অর্থনীতির কারণে একটি দুর্দশাগ্রসত্ম অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল এবং ভাবতে বাধ্য হয়েছিল যে, তাদের উচ্চ শিক্ষালাভের আশা-আকাঙ্ক্ষা অকালেই ঝরে যাবে এবং তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতকে উত্তরণের উচ্চতর ধাপে প্রতিষ্ঠার প্রয়াস আগামী সকল সময়ের জন্য চিরবিষণ্ণই থেকে যাবে। এ সকল বাধাবিপত্তির মাঝেও তাদেরকে চাকুরীর খোঁজে এদিক সেদিক ঘুরে বেড়াতে হবে এবং কেউ কেউ ভাগ্যের সুপরিবর্তনে কোন চাকুরীর খোঁজ না পেয়ে প্রত্যমত্ম গ্রামের নিভৃত কোণে হতাশার ঝিমুনিতে দিনাতিপাত করবে।

এমতাবস্থার মধ্যে একমাত্র রাজশাহী সরকারি কলেজ ও একটি বেসরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আদিনা ফজলুল হক কলেজ রাজশাহী জেলার অতি স্বল্পসংখ্যক তরুণদের শিক্ষালাভের
খু-উ-ব সীমিত পরিসর ও সুযোগ সুবিধা যোগাতে পারত। কিছুসংখ্যক মুখ সোনার চামচ নিয়ে জন্ম নেওয়া তরুণ শিক্ষার এ সুবিধাটুকু গ্রহণ করতে পারত অথচ একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী যারা তাদের জীবিকার জন্য কৃষির উপর নির্ভরশীল এবং দারিদ্র্যপীড়িত মধ্যবিত্ত শ্রেণী থেকে আগত তাদের এমন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ কমই ছিল বলা চলে।

গ্যালারি

কলেজের প্রতীক পরিচিতি

রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের প্রতীকে রয়েছে চারটি বৃত্ত। ভেতর থেকে বাইরে বৃত্তগুলো যথাক্রমে সত্য, সুন্দর, পবিত্রতা ও বিশ্বজনীনতার প্রতীক। একটি উন্মুক্ত গ্রন্থ জ্ঞানের প্রতীক। একটি ফিতার বন্ধন বন্ধুত্ব ও পরমতসহিষ্ণুতার প্রতীক। একটি প্রদীপ শিখা আলোকিত মানুষের প্রতীক।

কলেজের নিয়ম কানুন

শিক্ষা নগরী রাজশাহীর কেন্দ্র স্থলে অবস্থিত রাজশাহী সরকারী সিটি কলেজ, রাজশাহী তথা উত্তর বঙ্গের অন্যতম বিদ্যাপীঠ। ১৯৫৮ সালের জুলাই মাসে রাজশাহী মহানগরীর রাজারহাতা এলাকায় প্রতিষ্ঠিত এ কলেজটি মাত্র ১৪০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে।

ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য অবশ্য পালনীয়

শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতা : রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ রাজশাহী শহরের একটি অন্যতম কলেজ। সমেত্মাষজনক ফলাফলের লক্ষ্যে কলেজে যথেষ্ট শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ বিরাজমান। অত্র কলেজের সার্বিক পরিস্থিতি সুষ্ঠু রাখার নিমিত্তে ছাত্র-ছাত্রীদের কিছু নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলা

কলেজের ইউনিফরম

ছাত্রদের পোশাকের ধরণ: গাঢ় কফি রং-এর ফুলপ্যান্ট, সাদা শার্ট, কলেজের মনোগ্রাম সম্বলিত দুই কাঁধে দুইটি ব্যাজ, কালো সু।

ছাত্রীদের পোশাকের ধরণ : সাদা সালোয়ার, সাদা শার্ট, কফি রং-এর টপস, দুই কাঁধে কলেজের মনোগ্রাম সম্বলিত দুই কাঁধে দুইটি ব্যাজ, কালো সু।

 

কলেজের ছুটির তালিকা

ছুটির উপলক্ষ ছুটির তারিক ও দিন
   
   
   
   
   
   
   
   
   
   
   

(*চিহ্নিত ছুটির তারিখ চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল)